নওগাঁর রানীনগরে দুই নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে একই বাজারের ২২ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় চোরেরা নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শনিবার রাত ১টায় উপজেলার বড়গাছা (চৌমুহনী) বাজারে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার বড়গাছা (চৌমুহনী) বাজারে কীটনাশক, মুদি, ফ্যাক্সিলোড, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশুর খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০টি দোকান রয়েছে। ওই বাজারে রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য বাজার কমিটির পক্ষ থেকে দুইজন নৈশপ্রহরী প্রতিদিন রাতে বাজারের দোকানগুলো পাহারা দিয়ে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। রোববার সকালে অনেক ব্যবসায়ী দোকানে এসে দেখেন বাজারের ২০ থেকে ২২টি দোকানের তালা কেটে চোরেরা দোকান থাকা নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

বড়গাছা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বলেন, রাতে দুইজন নৈশপ্রহরী বাজারের দোকানগুলো পাহারা দিচ্ছিল। গভীর রাতে চোরেরা এসে দুইজন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে বাজারের প্রায় ২০-২২টি দোকানের নগদ টাকাসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

বড়গাছা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সজল সরকার জানান, ওই রাতে আমার দোকান থেকে সিনজেনটা কোম্পানিসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।

বড়গাছা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী বকুল বলেন, আমার দোকান থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বিভিন্ন কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।

বড়গাছা বাজারের ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী মো. রনি জানান, আমার দোকানের তালা কেটে চোরেরা ২৫ হাজার টাকার বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্সের মালামাল নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে রানীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ব্যবসায়ীরা যা বলছেন সেটা সঠিক নয়। ৪-৫টি দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মাঠে কাজ করছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।